শুক্রবার,২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


যেদেশে ৯০ ভাগই নাস্তিক


পূর্বাশা বিডি ২৪.কম :
৩০.০১.২০১৬

11-billion-people-400x262
ডেস্ক রিপোর্টঃ

বিশ্বের জনবহুল দেশ চীনেই সবচেয়ে বেশি নাস্তিকের বসবাস। এখানে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব স্বীকার করে না। ‘গ্যালাপ ইন্টারন্যাশনাল’ সম্প্রতি বিশ্বের ৬৫টি দেশে জরিপ চালিয়ে এ তথ্য পেয়েছে।

জরিপে পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীনই সবচেয়ে বেশি নাস্তিকের বাস দেশটির শতকরা ৯০ ভাগ মানুষই প্রত্যক্ষ ভা পরোক্ষভাবে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব অস্বীকার করেন। চীনের শতকরা ৬১ ভাগ মানুষ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব সরাসরি অস্বীকার করেন, বাকি ২৯ ভাগ নিজেদের ধর্মে বিশ্বাসী নন বলে দাবি করেছেন।

জরিপের ফলাফল অনুযায়ি নাস্তিদের সংখ্যায় দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ সুইডেন। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সুইডেনে সরকারি হিসেব অনুযায়ী মাত্র শতকরা ৮ ভাগ মানুষ উপাসনালয়ে গিয়ে ধর্ম চর্চা করেন। গ্যালাপ-এর জরিপে  মোট জনসংখ্যার শতকরা ৭৬ ভাগ সৃষ্টিকর্তা আছেন বলে মনে করেন না এই দেশের অধিবাসীরা।

‘নাস্তিক’ চেক প্রজাতন্ত্রেও খুব বেশি কম নয়। মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩০ ভাগ মানুষ নিজেদের সরাসরিই ‘নাস্তিক’ বলেন। তবে বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের ধর্মবিশ্বাস আছে কিনা, তা জানাতেই রাজি নন। মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করেন। গ্যালাপ-এর জরিপ জানাচ্ছে, সাবেক সমাজতান্ত্রিক দেশটিতে এক হিসেবে শতকরা ৭৫ ভাগ মানুষই নাস্তিক, কেননা তাঁরা ধর্ম বা সৃষ্টিকর্তার গুরুত্ব স্বীকার করেন না।

এদিকে জরিপে অংশ নেয়া ব্রিটেনের শতকরা ৫৩ জন মানুষ বলেছেন যে, তাঁদের কোনো ধর্মবিশ্বাস নেই। আর ১৩ ভাগ সরাসরিই বলেছেন, ‘আমি নাস্তিক’।

হংকং ও জাপানে শতকরা ৬২ ভাগ মানুষ নাস্তিক। গ্যালাপ এর জরিপে হংকংয়ের মানুষদের সম্পর্কেও একটা ধারণা পাওয়া গেছে, যে হংকংয়ের শতকরা ৪৩ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে নাস্তিক। বাকি ৫৭ ভাগের মধ্যে ১৯ ভাগকেও আস্তিক অন্তত মনে হয়নি। জাপানে প্রত্যক্ষ নাস্তিক শতকরা ৩১ ভাগ হলেও সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বর গুরুত্ব নিয়ে ভাবেন না এমন মানুষও আছে অনেক।

এদিকে জার্মানির ৫৯ ভাগ মানুষকেই নাস্তিক হিসেবে দেখিয়েছে গ্যালাপ। ইউরোপের অন্যান্য দেশ, যেমন স্পেন, অস্ট্রিয়া এবং ফ্রান্সের নাগরিকদেরও বড় একটা অংশই নাস্তিক। বিশ্বের যেসব দেশে অনেক ‘আস্তিক’, সেসব দেশ থেকে অনেক মানুষই এসব ‘নাস্তিক’ দেশে এসে উন্নত জীবনের সন্ধান পেয়েছেন, পাচ্ছেন। ইউরোপের বেশ কিছু দেশেই এখনো নাস্তিকরাই সংখ্যাগুরু। তবে সংখ্যালঘু আস্তিকদের ধর্ম চর্চায় তাতে কোনো সমস্যা হয় না।



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি