শুক্রবার,২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » জালিয়াতি রোধে এটিএম কার্ডের নিরাপত্তায় অনেক ব্যাংক নির্দেশনা মানছে না।


জালিয়াতি রোধে এটিএম কার্ডের নিরাপত্তায় অনেক ব্যাংক নির্দেশনা মানছে না।


পূর্বাশা বিডি ২৪.কম :
১৩.০৫.২০১৮

ডেস্ক রির্পোট:

এটিএম কার্ডের জালিয়াতি রোধে জুনের মধ্যেই সব কার্ড চিপভিত্তিক করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যে নির্দেশনা দিয়েছিল তা মানছে না অনেকগুলো ব্যাংক। ব্যাংকের ৪০ ভাগ কার্ড এখনো ম্যাগনেটিক ভিত্তিক। এসব কার্ডের নিরাপত্তা দুর্বলতার কারণে জালিয়াতি অনেক সহজ বলে মনে করেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছেন, কার্ড ব্যবহারে গ্রাহকদেরও আরো সচেতন হতে হবে ।

এটিএম কার্ডের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় শপিংয়ে গেলে অনেকেই পকেটভর্তি নগদ টাকা নিয়ে যায় না। হোটেল-রেস্টুরেন্টেও কার্ডের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩৯টি ব্যাংক কার্ডসেবা চালু করেছে। দেশে কার্ডধারী গ্রাহকের সংখ্যা ১ কোটি ২৯ লাখ। এসব কার্ডের ৪০ ভাগই ম্যাগনেটিক, যা সহজেই ক্লোন করা যায়। এটিএম বুথে এবং পস মেশিনে স্কিমিং ডিভাইস বসিয়ে গ্রাহকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করে নিচ্ছে হ্যাকাররা।

তবে, সম্প্রতি কার্ড জালিয়াতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় নগদ টাকায় লেনদেনেই আগ্রহী অনেকে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, কার্ড জালিয়াতির কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাই এখন নগদ টাকাতেই লেনদেন করে স্বস্তি পাওয়া যায়।

চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে এটিএম কার্ড চিপভিত্তিক করতে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু সব ব্যাংক এখনো সে নির্দেশনা অনুসরণ করেনি। ফলে জালিয়াতির ঘটনা থামছে না।

বি আইবিএম এর সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান আলম বলেছেন, ব্যাংকগুলোকে আরো সচেতন হতে হবে। নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়গুলোকে আরো জোরদার করা। ম্যাগনেটিক কার্ড থেকে যতদিন চিপ কার্ডে না আসবে তত দিন কার্ড জালিয়াতি দূর হবে না।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেছেন, প্রযুক্তিগত উন্নয়নে কাজ করছি আমরা। তার পাশাপাশি গ্রাহকদেরকে এই বিষয়টি ওপরে সচেত হতে হবে। ২০১৭ সালে ব্যাংকগুলো আইটি খাতে বিনিয়োগ করে ২ হাজার ৩৫ কোটি টাকা। জালিয়াতি রোধে এ খাতে বিনিয়োগ না বাড়ালে ব্যাংকিং খাত ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি