শুক্রবার,২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • প্রচ্ছদ » আইন আদালত » চকবাজারে শাশুড়ি, তার মেয়ে এবং নাতনি হত্যা : মেয়ের জামাইয়ের মৃত্যুদণ্ড


চকবাজারে শাশুড়ি, তার মেয়ে এবং নাতনি হত্যা : মেয়ের জামাইয়ের মৃত্যুদণ্ড


পূর্বাশা বিডি ২৪.কম :
০৫.০৩.২০১৯

ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীর চকবাজারে শাশুড়ি, তার মেয়ে এবং নাতনি হত্যা মামলার আসামি মো. আল ইসলাম ওরফে জীবনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-৮ এর বিচারক ফারহানা ফেরদৌস এ আদেশ দেন। আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ রায়ে সস্তুষ্টি প্রকাশ করে মো. মাজহারুল হক জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিল আহামেদ জানান, সঠিক বিচার হয়নি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন তিনি।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালে রাশিদা বেগম তার মেয়ে সীমা, তার জামাই সোহাগ, নাতনি বন্যা, নাতনি জুঁই ও নাতি সানীকে নিয়ে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। রাশিদা বেগম ছোট মেয়ে সুমিকে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার নূরুল হক সরদারের ছেলে আল ইসলাম জীবনের সঙ্গে বিয়ে দেন। তাদের ঘরে দুই সন্তান জুঁই ও সানী। দ্বিতীয় সন্তান জন্মের সময় সীমা মারা যান। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর জীবন দুই সন্তানকে নিজের কাছে নেওয়ার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত বাচ্চাদের রাশিদা বেগমের কাছে রাখার আদেশ দেন। তবে জীবন বাচ্চাদের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন।

২০১৬ সালের ৪ জুলাই ওই বাসায় বাচ্চাদের নিতে আসেন জীবন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাশিদা বেগমকে (৬০) রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে জীবন। এ সময় সীমা (৩০) এবং নাতনি বন্যা ঠেকাতে গেলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করে সে। রাশিদা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান। ওই দিন বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বন্যা। আর ৬ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সীমা।

রাশিদা বেগমের ছোট ভাই সাহাবুদ্দিন ২০১৬ সালের ৬ জুলাই চকবাজার থানায় জীবনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট আসামি জীবনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর দুইদিনের রিমাণ্ডে নেয়া হয় তাকে। পরে জীবন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন।



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি