পূর্বাশা ডেস্ক:
ফেনীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে ২ সন্তানকে হত্যার পর মর্জিনা আক্তার মুক্তা (২৮) নামে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় শহরের পশ্চিম উকিলপাড়ার উদির আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যার ঘটনায় কিছুতেই থামছে না স্বজনদের আহজারি। বাড়িতে চলছে স্বজনদের কান্নার রোল।
স্থানীয় প্রতিবেশীরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে মোবাইল ফোনে স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাক-বিতণ্ডা চলছিল মুক্তার। ধারণা করা হচ্ছে, স্বামীর ওপর অভিমান করেই ছেলে-মেয়েকে হত্যার পর তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
মুক্তার ভাই মাসুম জানান, ছোটকাল থেকে মামার বাড়িতে থেকে পড়া শেষে কুটিরহাট গ্রামের ইতালী প্রবাসী নুর মোহাম্মদ তারেকের সাথে মুক্তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে মনমালিন্য শুরু হয় মুক্তার। স্ত্রী সন্তানের শান্তির কথা বিবেচনা করে ৩ মাস পূর্বে উকিল পাড়ায় বাসা বাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে সে।
এদিকে মেয়ে ও নাতি-নাতনির আত্মহত্যার খবর পেয়ে মা সবুরা খাতুন কাজলসহ পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন উকিল পাড়ার বাসায়। স্বজনদের আহজারীতে ভারী হয়ে ওঠে সেখানকার পরিবেশ। বাড়িতে চলছে স্বজনদের কান্নার রোল। কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না মেয়ে ও নাতি-নাতনির মৃত্যু।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক রাশেদ খান চৌধুরী জানান, ধারণা করা হচ্ছে মুক্তা প্রথমে তার সন্তানদের মোবাইল ফোনের ক্যাবল ও গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করেন। এরপর বিষপান করে তিনিও আত্মহত্যা করেন। মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।