পূর্বাশা ডেস্ক:
পাকিস্তানি নাগরিকের অর্থায়নে জেলা সদর ঈদগাঁওতে জামায়াত-শিবির চক্র মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতন ইস্যুকে পুঁজি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও নাশকতা পরিকল্পণা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারণে ঈদগাঁওতে জনমনে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। আমান উল্লাহ চৌধুরী নামে এক পাকিস্তানি নাগরিকের পরামর্শ ও অর্থায়নে এ পরিকল্পণা হাতে নিয়েছে চক্রটি। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েক নেতা স্বররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ প্রেরণ করেছেন।
মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যু কায়কর হওয়া কাদের মোল্লা ও একই অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ড ভোগকারী মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সহ কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি রায়কে কেন্দ্র করে ওই চক্রটি ঈদগাঁওতে নানা নাশকতা চালিয়েছে। চক্রটির প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব রয়েছে সাবেক শিবির ক্যাডার দিদারুল ইসলাম। রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টিকল্পে শিবির ক্যাডার দিদারের সেকেন্ড-ইন কমান্ড জিয়া সহ কয়েক আরএসও জঙ্গী ইতোপূর্বে একাধিকবার বৈঠক করেছে। বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসায় গত এক সপ্তাহ ধরে সেখানে মন্দির গুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২৪ নবেম্বর ওই চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। সন্ত্রাসী দিদার বাহিনীর প্রধান দিদারুল ইসলামকে গ্রেফতার করার দাবীতে আজ রবিবার আওয়ামী লীগ নেতা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন স্বরাষ্ট্র সন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ প্রেরণ করা হয়েছে।