রবিবার,১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • প্রচ্ছদ » জাতীয় » রাষ্ট্রপতি গঠিত সার্চ কমিটি আ.লীগ সরকারের পছন্দের : মির্জা ফখরুল


রাষ্ট্রপতি গঠিত সার্চ কমিটি আ.লীগ সরকারের পছন্দের : মির্জা ফখরুল


পূর্বাশা বিডি ২৪.কম :
২৫.০১.২০১৭

fakrul-1

ডেস্ক রিপোর্ট :

পুরো সার্চ কমিটি আওয়ামী লীগ সরকারের পছন্দের এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা হতাশ হয়নি, ক্ষুব্ধ হয়েছি। রাষ্ট্রপতিকে মনে করি তিনি শেষ একটি প্রতিষ্ঠান। যে প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অভিভাবক। তার কাছে সব সময় আশা করি, প্রত্যাশা করি আমরা একটি নিরপেক্ষ একটি সিদ্ধান্ত পাবো। কিন্তু ‘দুর্ভাগ্য আমাদের, দুর্ভাগ্য এ জাতির। রাজনৈতিক সংকট থেকে বের হয়ে আশার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল সেই উদ্যোগটিও তিনি গ্রহণ করলেন না। তাই আমরা আগে বুঝতে পারছি এই সার্চ কমিটি কি ধরণের নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। জাতিকে আবার আরেকটি অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। আরেকটি অন্ধকার গহ্বরের দিকে ঠেলে দেওয়া হলো।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর সেগুবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর রুনি মিলানয়তনে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

২৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা ও শহীদ জিয়া : আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ লেবার পার্টি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ সাদিক, মহা হিসাব রক্ষক ও পরিদর্শক জেনারেল মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক শিরিন আকতার এছাড়া আরো দুইজন বিচারপতি রয়েছেন সার্চ কমিটিতে।

তিনি বলেন, ‘পুরো সার্চ কমিটি আওয়ামী লীগ সরকারের পছন্দের। কারণ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছে এই সরকার। কম্পোট্রলার জেনারেল নিয়োগ দিয়েছে সরকার। প্রো-ভিসি সরকারের নিয়ন্ত্রিত।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘টিভি চ্যানেল ২৪ কে টেলিফোনে শিরিন আকতার বলেছেন, ‘আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব, পবিত্র দায়িত্ব মনে করি। এখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। আমাকে যে দায়িত্ব দিবেন তা পবিত্র দায়িত্ব মনে করে তা পালনে সচেষ্ট হবো।’ বুঝেন, কি নিরপেক্ষ একটি সার্চ কমিটি গঠন হয়েছে, বলেন ফখরুল।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি অধিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ব্যবস্থা তুলে দিয়ে ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ছাড়া সবাই নির্বাচন বর্জন করেছিল। সেই সুযোগ কন্যা শেখ হাসিনার দায়িত্ব তিনি সুচারু ভাবে পালন করবেন। সুতরাং নিরপেক্ষতার চরণ নির্দশন মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাদের সেটা দিয়েছেন।

সংকট নিরসনের জন্য এই সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা বলতে কোনো দিধা নেই। সরকার চায় এই পরিস্থিতি বিরাজ করুক। পানি ঘোলাটে হয়ে থাকুক। এই ঘোলাটে পানির মধ্য থেকেই তারা চমৎকার করে মাছ শিকার করে যাবে। ক্ষমতায় থেকে দেশ পরিচালনা করে যাবেন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব তার নয়। আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে তিনি বলতেই পারেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রের তার কাছে থেকে এই ধরণের বক্তব্য জনগণ আশা করে না। কারণ সরকার প্রধানের দায়িত্ব হচ্ছে সংঘাতহীন ভাবে সুন্দর ভাবে পরিচলনা করা।’

তিনি বলেন, ‘তার( আওয়ামী লীগ) জেনে শুনেই এই কাজটি করেছেন। তারা আমার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মত আবার নির্বাচন করতে চান। এতে সংকটরে সমাধান হবে না। রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান না করে জনগণকে বোকা বানিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনে কাজ করতে সক্ষম হবে না।’

৭৫ সালে বাকশাল গঠন এবং বর্তমান সরকারের জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখি না’ উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের জনগণকে জাগাতে হবে, জানাতে হবে। জনগণের শক্তির মধ্য দিয়ে এই অপশক্তিকে অপসারিত করতে হবে। ২০ দলীয় জোট, বিএনপি ও অন্যসব প্রতিষ্ঠানসহ সকল গণতান্ত্রিক মানুষের পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে, এই সরকারে বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রামে নেমে আসা।’

লেবারপার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান, এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী প্রমুখ।



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি