সোমবার,৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


দুই মডেল তরুণী ধর্ষণ: প্রধান আসামি লিটন গ্রেফতার


পূর্বাশা বিডি ২৪.কম :
১২.০৭.২০১৭

পূর্বাশা ডেস্ক:

গাজীপুর থেকে ডেকে এনে সাভারে দুই মডেলকে ধর্ষণ মামলার ‘মূল হোতা’ ডিবি পুলিশের সোর্স লিটন আলী মন্ডলকে মানিকগঞ্জ থেকে আটক করেছে পুলিশ।সাভার মডেল থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. খোরশেদ আলম  মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টায়  এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার চরখলসি এলাকা থেকে আসামি লিটনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।মানিকগঞ্জ থেকে লিটনকে রাতেই সাভার মডেল থানায় এনে জিজ্ঞসাবাদ করা হবে বলে এএসপি জানান।

গত বৃহস্পতিবার রাতে সাভার লিজেন্ড কলেজ ভবনে দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে লিটন পলাতক ছিল।এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার কলেজ ভবনের দুই দারোয়ান মোকাররম ও মিজানুর রহমানকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।জানিয়েছেন সাভার মডেল থানার ওসি মহসিন উল কাদের।

তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদ ও দুই দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। আদালত জমিন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী অফিসার পরিদর্শক মো. সোহরাওয়ার্দী জানান,  ধর্ষিতা দুই তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার (ওসিসি) থেকে সকালে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।তাদের আরও এক সপ্তাহ পুলিশের সেফ কাস্টডিতে রাখা হবে বলে তিনি জানান।

পরিদর্শক বলেন, ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত তরুণীদের কোন স্বজন পুলিশ বা তাদের সঙ্গে যোগযোগ করেনি।দুই তরুণী বিবাহিত হলেও স্বামীদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই বলে তারা পুলিশকে জানিয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

ধর্ষণের মামলার তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, তদন্ত নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনার সঙ্গে অনেকেই জড়িত আছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হতে পারে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ধর্ষিতা দুই তরুণী মামলায় তাদের আসল নাম ও ঠিকানা গোপন করেছিল। আর আগেও তারা একাধিকবার ডিবির সোর্স লিটনের সঙ্গে সাভারে এসেছিল বলে কিছু তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, মিউজিক ভিডিওতে মডেল এবং টিভি নাটকে অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে ডিবি পুলিশর সোর্স লিটন।সে ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে লিজেন্ড কলেজের ভেতরে তরুণীদের নিয়ে যায়।

এরপর কলেজ ভবনের দুই নিরাপত্তাকর্মী মোকাররম ও মিজানের সহায়তায় দুই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। এতে লিটন ও ভবন মালিক মালিক কবীরসহ আরও অনেকে জড়িত বলে পুলিশের সূত্রে জানা গেছে।

পূর্বাশানিউজ/১২ জুলাই ২০১৭/রুমকী



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি