শুক্রবার,২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • প্রচ্ছদ » চট্টগ্রাম নিউজ » ছয় কিলোমিটার হেঁটে পাহাড়িদের শীত বস্ত্র, মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেন এমপি কুজেন্দ্র ত্রিপুরা


ছয় কিলোমিটার হেঁটে পাহাড়িদের শীত বস্ত্র, মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেন এমপি কুজেন্দ্র ত্রিপুরা


পূর্বাশা বিডি ২৪.কম :
১৮.১২.২০২০


ডেস্ক রিপোর্টঃ

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির অরণ্যে ঘেরা দুর্গম পাহাড়ি জনপদ মাটিরাঙ্গার গোমতির কেশব মহাজনপাড়া, হাজাপাড়া, গকুলমনি ও মাখুমতৈছা। সেখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাধারণ মানুষের বসবাস। এদের প্রায় সবার আর্থিক অবস্থা দারিদ্রসীমার নিচে। কম্বল তো দূরের কথা, দুবেলা খাবার জোগাতে তাদেরকে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে অবিরাম ছুটে চলতে হয়।

দুর্গম এই চারটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক মানুষকে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে মাটিরাঙ্গার গোমতির তাকারমনি পাড়া থেকে অন্তত ছয় কিলোমিটার পাহাড়ি পথ হেঁটে দুর্গম হাজাপাড়া এলাকায় গেলেন ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে দুর্গম হাজাপাড়ায় গিয়ে শীতার্ত মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি স্থানীয়দের মাঝে মাস্ক ও হাত ধোয়ার জন্য সাবানও বিতরণ করেন।

টাকার অভাবে কম্বল কিনতে না পারা মাখুমতৈছা গ্রামের ৭০ বছর বয়সী হরি কিশোর ত্রিপুরার কাছে একটি মোটা কম্বলই যেন পরম প্রাপ্তি। কম্বল হাতে নিয়েই প্রিয় নেতার জন্য আশীর্বাদ করলেন গকুলমনি পাড়ার বাসিন্দা মমতা রানী ত্রিপুরা (৬৫)।

বললেন, ‘অভাবের সংসার। প্রচণ্ড শীতে খুবই কষ্ট পেতাম। এ কম্বল কিছুটা হলেও উষ্ণতার ছোঁয়া দেবে। কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি‘র হাত থেকে মোটা কম্বল পেয়ে আপ্লুত হাজাপাড়ার বয়োবৃদ্ধ হেমেন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, এটা শুধু কম্বল নয়, এটা আমাদের জন্য আশীর্বাদ।’

দুর্গম জনপদের মানুষ বরাবরই বঞ্চিত ছিল মন্তব্য করে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া দুর্গম জনপদের শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারাটা সৌভাগ্যের। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শীতার্ত মানুষের কল্যাণে
আমাদের মানবিক কর্মতৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

এ সময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিন জয় ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলী, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা, গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন লিটন, আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গনি ছাড়াও পিছিয়ে পড়া চারটি গ্রামের কার্বারীরা উপস্থিত ছিলেন।



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি