প্রচ্ছদ 
ভারত থেকে যারা ইলিশ চাচ্ছে তারা আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিল: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভারত থেকে যারা ইলিশ চাচ্ছে, তারা আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিল।
সোমবার সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভেঙে যাওয়া মুছাপুর রেগুলেটর পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিনি জনতা বাজারসহ কয়েকটি ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, ইলিশ ভারতে উপহার হিসেবে যাচ্ছে না; বরং ইলিশ রপ্তানি করা হবে এবং এর টাকা বাংলাদেশ সরকার পাবে। এটি খুব ছোট করে দেখার মতো বিষয় নয়। বাংলাদেশ থেকে এখনও ইলিশ যায়নি; একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই পাড় থেকে যারা ইলিশ চাচ্ছে, তাদেরও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেক সমর্থন দিয়েছিল, যা আমরা সকলেই দেখেছি।
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, যেখানেই নদীতে বালু রয়েছে, সেখানেই জেলা প্রশাসকরা মানুষের আপত্তি সত্ত্বেও রাজস্ব আয়ের কথা চিন্তা করে বালু মহাল ঘোষণা করে দেন। বালু মহাল ঘোষণার সুযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি বিলুপ্তিরও সুযোগ রয়েছে। নদীর ড্রেজিং বালু ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে কি না, নাকি সরকারিভাবে ড্রেজিং করা হবে, তা আমাদের ভাবার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, মুছাপুর নদীর পাড়ে আসার কারণ হলো, সমস্যাগুলো সরকার যেন শুধু তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে, বরং মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখা। মানুষ আর সরকার যদি ভিন্ন সত্ত্বা হয়ে থাকে, তবে পরিবর্তন হবে না। মানুষকে আর সরকারকে একত্রে এসে সমস্যার সমাধানে যেতে হবে। সরকারি হিসেব মতে, প্রতিবছর নদী ভাঙনে ৩০ হাজার মানুষ সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়, যা বেসরকারি হিসেবে ১ লাখেরও বেশি মানুষ সর্বশান্ত হয়ে যায়।
লোনা পানির আগ্রাসন ঠেকাতে মুছাপুর রেগুলেটর প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, রেগুলেটর তৈরি করা সহজ নয়। এর একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। দ্রুত গতিতেও রেগুলেটর নির্মাণ করতে চাইলে তাও দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। এখানে যে চর হয়েছে, সেখানের বালু সরানোর জন্য স্থানীয় জনগণ প্রস্তাবনা দিয়েছে। নদীতে ক্যাপটেল ড্রেজিং এবং মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং দুটোর প্রয়োজন রয়েছে। সরকারকে রেগুলেটর ও ড্রেজিং দুটো বিষয়েই ভাবতে হবে। সবচেয়ে কার্যকর কোনটি হবে, তা আমরা বিবেচনা করবো এবং কার্যকর হওয়ার ভিত্তিতে সেটির বাস্তবায়ন করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঁইয়া, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সি আমীর ফয়সাল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
