অভিন্ন জলরাশি নীতিমালা না হলে বন্যাঝুঁকি আরও বাড়বে: পরিবেশ উপদেষ্টা
অভিন্ন জলরাশি নীতিমালা প্রবর্তন না হলে দেশে বন্যার ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘ক্ষমতায়ন: জলবায়ুসহিষ্ণু সমাজের জন্য নারী (ফেজ ২)’ প্রকল্পের ‘অ্যানুয়াল কমিউনিটি অফ প্র্যাক্টিস (কপ) নেটওয়ার্ক কনভেনশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শেরপুর, ফেনী এবং নোয়াখালীতে বন্যা এবং আবহাওয়ার চরম অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, যা আমাদের নিজেদের দায়ে হচ্ছে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বন্যা এবং গরম আবহাওয়ার জন্য অভিযোগ করি, কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না যে এগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব।”
জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতার পাশাপাশি উজান এবং ভাটির দেশগুলোর একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান সৈয়দা রিজওয়ানা।
তিনি বলেন, “অতি বৃষ্টি এবং সতর্কতা ছাড়া উজান থেকে পানি ছেড়ে দেওয়ার কারণে বন্যা ঘটছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের একটি ফল।”
দেশে অনেক বাঁধ পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে এবং ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা না করা হলে এবং অভিন্ন জলরাশি নীতিমালা প্রবর্তন না হলে ঝুঁকি আরও বাড়বে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
বন্যার পরবর্তী সময়ে ফসলের বীজের সংকটের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “বন্যার পর বীজ পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু যদি আমরা ঘরে ঘরে বীজ সংরক্ষণ করতাম, তাহলে সরকারকে বীজের সংকটের সম্মুখীন হতে হতো না। কিন্তু আমরা বীজ সংরক্ষণ না করে সব দায়িত্ব কোম্পানির হাতে দিয়ে দিয়েছি।”