প্রচ্ছদ 
শিক্ষা শেষে চাকরি প্রত্যাশীদের সহায়তায় ভাতা ব্যবস্থা চালু হবে: খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাজীবন শেষ করার পর চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য এক বছরের জন্য রাষ্ট্র থেকে ভাতা প্রদানের পরিকল্পনা তাদের সংস্কার প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
রবিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকামের (ইউবিআই) কার্যকারিতা মূল্যায়ন’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, দেশে অর্থপাচার ও দুর্নীতি এখন প্রধান সমস্যা। এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণ বা কমানো আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি থাকলে এ ধরনের কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতির কারণে অর্থের অপচয় বন্ধ করতে পারলে দেশের রিসোর্সের কোনো সংকট থাকবে না। জনগণকে সেবা প্রদান করলে কর আদায় অনেক সহজ হয়ে যায়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর দেশের মানুষের মনোজগতে বড় পরিবর্তন এসেছে। যারা এ পরিবর্তন বুঝতে পারবে না, তাদের ভবিষ্যৎ নেই। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের কথা বিবেচনা করে বিএনপি শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে। আমরা ইউনিভার্সাল হেলথ কেয়ারের কথা বলেছি, যা যুক্তরাজ্যের মডেলে বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে চিকিৎসার খরচ আফগানিস্তানের চেয়েও বেশি। এ মডেল বাস্তবায়িত হলে মানুষের চিকিৎসার ব্যয় অনেক কমে আসবে এবং আয় বৈষম্য হ্রাস পাবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাজীবন শেষে চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য এক বছরের জন্য রাষ্ট্রীয় ভাতা প্রদানের বিষয়টি বিএনপির সংস্কার প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত আছে।
সেমিনারে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশে ২৪ লাখ মানুষ কর দেন, অথচ এক কোটিরও বেশি মানুষের ক্রেডিট কার্ড আছে। কর ফাঁকি দেওয়া বিরাট একটি সমস্যা, যা সমাধানের জন্য দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পাচার ও দুর্নীতির মোকাবিলা করা সম্ভব হলে ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করা সহজ হবে।
