শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ১৪ পুলিশ কনস্টেবলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি

শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ১৪ পুলিশ কনস্টেবলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি

ডেস্ক রিপোর্ট:

টাঙ্গাইলের মহেরা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণরত ১৪ কনস্টেবলকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি আদেশে তাদের অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

আদেশে বলা হয়েছে, ‘শৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত কারণে আজ, ২ জানুয়ারি অপরাহ্ণ থেকে প্রশিক্ষণ থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’

অব্যাহতি পাওয়া প্রশিক্ষণরত কনস্টেবলরা রাত্রে ট্রেনিং সেন্টার ত্যাগ করে, তাদের নিজ নিজ বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন বলে জানা গেছে।

অব্যাহতি পাওয়া কনস্টেবলরা হলেন: নাটোরের মিনাজুল মোন্না ওরফে মামুন, আব্দুল মান্নান, নওগাঁর জিহাদ হাসান, খুলনার শেখ নাঈম রহমান, যশোরের পাভেল ও ফারদিন, নোয়াখালীর সায়েম ও শহিদুল, গোপালগঞ্জের ইমান, ফরিদপুরের রমজান মিয়া, রাজশাহীর পারভেজ, শরীয়তপুরের রিফাত ও ছাইদুল ওরফে ছাইদুর এবং মুন্সীগঞ্জের তাওহীদ আলম।

মহেরা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুন থেকে ৫৪তম ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এতে মোট ৭৯৩ জন প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন, তবে ছয়জন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের বাদ দেওয়া হয়। পরে ৭৮৭ জন কনস্টেবল প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন।

অ্যাডিশনাল ডিআইজি মাহফুজা আক্তারের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগপ্রাপ্তদের ৬ (ছয়) মাস মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ ২৪ জুন ২০২৪ থেকে ৭টি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে চলমান রয়েছে। এই প্রশিক্ষণের সমাপনী কুচকাওয়াজ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে নির্ধারিত ছিল, তবে কিছু কারণে তা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। নতুন তারিখ ১২ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।’

অব্যাহতি পাওয়া কনস্টেবলরা জানান, ‘১৯১ দিন প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। ৭৮৭ জনের প্রশিক্ষণ ছিল, পাসিং প্যারেড হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তারিখও পরিবর্তন করা হয়েছে। আজ হঠাৎ করে অব্যাহতির চিঠি দেওয়া হলো। শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোনো কাজ না করে আমাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়ায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’

মহেরা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের পুলিশ সুপার সাহেদ মিয়া জানান, ‘এই বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ছাড়া আমরা কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না।’

এ বিষয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তাকে পাওয়া যায়নি।