ডেসটিনির এমডিসহ ১৯ জনের ১২ বছরের সাজা
ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত মামলায় ঢাকার একটি আদালত ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম আজ এই রায় ঘোষণা করেন।
এদের মধ্যে অন্য কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ডেসটিনির পরিচালক লে. জে. (অব.) হারুনুর রশিদ, প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মো. হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গোফরানুল হক, মো. সাইদ-উর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়েবুর রহমান, গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, পরিচালক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, ফারহা দিবা, জামসেদ আরা চৌধুরী, প্রফিট শেয়ারিং ডিস্ট্রিবিউটর মো. জসিম উদ্দীন ভূইয়া, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ এস এম আহসানুল কবির বিপ্লব, জোবায়ের সোহেল, আব্দুল মান্নান এবং ক্রাউন এক্সিকিউটিভ মোসাদ্দেক আলী খান।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই গ্রাহকদের ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২২৭ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমীনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরকার। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২০ মার্চ ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার। পরবর্তীতে আরও ৭ জনের নাম আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলায় ১৪০ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের আসামিরা ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে ৮ লাখেরও বেশি বিনিয়োগকারীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এই সময়কালে ঋণ প্রদান, অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ, নতুন প্রতিষ্ঠান খোলার নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। পরে এই অর্থটি আসামিরা লভ্যাংশ, সম্মানী, বেতন-ভাতার নামে আত্মসাৎ করেন।
এছাড়া ২০০৬ সালের ২১ মার্চ থেকে ২০০৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে গাছ বিক্রির নামে ডেসটিনি ট্রি-প্ল্যানটেশন লিমিটেডের জন্য ২ হাজার কোটিরও বেশি টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে এই অর্থটিও আসামিরা বেতন-ভাতা, সম্মানী, লভ্যাংশ, বিশেষ ভাতা বা কমিশনের আকারে আত্মসাৎ করেছেন।