ডেস্ক রিপোর্ট:
আওয়ামী লীগের এক নেতার আত্মীয়ের সঙ্গে ঝগড়ার জের ধরে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানাকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে দুটার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে পেট্রোল পাম্পের সামনে কথা কাটাকাটি হয়। পৌনে তিনটার দিকে নিউ মার্কেট থানায় সোহেল রানাকে ডেকে আটক করা হয় বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, সোহেল রানাকে নিউ মার্কেট থানা আটক করেছে। তিনি এখন আমাদের হেফাজতে আছেন। তবে কী কারণে আটক করা হয়েছে—এমন প্রশ্নে মশিউর রহমান একটু রেগে যান। বলেন, কী ধরনের প্রশ্ন করছেন? এটা নিউ মার্কেট থানাকে বলেন।
নিউ মার্কেট থানার ওসি ইয়াসির আরাফাতের নম্বরে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এরপর থানার ওসি তদন্ত মাহবুবকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ওসি স্যার কথা বলবেন। আমি কিছু বলতে পারব না।
যোগাযোগ করা হয় ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ তুরিন আফরোজের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি শুনেছি। পুরো ঘটনা ঠিকভাবে জানি না।
এ নিয়ে ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টিকে স্পর্শকাতর বলে এড়িয়ে যান।
নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বাংলা বলেন, দুপুরে পেট্রোল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের এক নেতার আত্মীয়ের সঙ্গে বাক্-বিত-া হলে বিষয়টি ওই আত্মীয় নেতাকে জানান। এরপরই থানা থেকে সোহেল রানাকে ডেকে পাঠানো হয়।
সোহেল রানা ঢাকা কলেজের সম্ভাব্য নতুন কমিটির সভাপতি প্রার্থী। তবে, ওই আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে কলেজ ছাত্রলীগের পুরনো কিছু বিষয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় এ কমিটি গঠনে বিলম্ব করছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ফোন রিসিভ করেননি। এরপর মেসেজ পাঠালেও কোনও ফিরতি মেসেজ আসেনি।
রাত পৌনে এগারোটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রমনা থানাতেই আটক ছিলেন সোহেল রানা।
ঢাকা কলেজের ফিজিক্স বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সোহেল রানার নামে আগে মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে সূত্র কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাতে পারেননি। এ নিয়ে ছাত্রলীগের এক নেতা দাবি করেন, অপেক্ষা করেন, দেখবেন, আগের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হতে পারে।