ভিসা জটিলতার কারণে বিভিন্ন দেশের (বিদেশি) শতাধিক পাসপোর্ট যাত্রী আটকে আছেন বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক পুলিশ ইমিগ্রেশনে।
বিদেশি এসব ব্যক্তির হাতে লেখা ভিসা বেনাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করছে না।
বুধবার সকালে বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের একটি নির্দেশনা জারির পর ইমিগ্রেশন পুলিশ এ ধরনের বিদেশি যাত্রীদের বাংলাদেশে ঢুকতে বাধা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে হঠাৎ করে এ ধরনের সিদ্ধান্তের পর বেনাপোল ইমিগ্রেশনে হাতে লেখা পাসপোর্ট যাত্রীদের ভিসা এন্ট্রি না করায় বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিরা পড়েছেন মহাবিপাকে।
সকাল থেকে ইমিগ্রেশনে এসে তারা শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে আছেন পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে না পেরে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই ভারতীয় নাগরিক।
ভারতীয় নাগরিকরা জানান, সে দেশের কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন তাদের হাতে লেখা পাসপোর্টের ওপর কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ করেনি। ওপার থেকে এন্ট্রি সিল দেয়া সত্ত্বেও তারা এদেশে এসে পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে পারছেন না।
ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সঙ্গীতা বিশ্বাস (পাসপোর্ট নম্বর-এমবি ৪৯৯০৮২) এবং মিঠুন চক্রবর্তী (পাসপোর্ট নম্বর- এম ৮১১৯৬৯৭১) জানান, বাংলাদেশে বেড়াতে আসছেন তারা। ভোরে বেনাপোল এসে এখন ভিসা জটিলতার কারণে তারা সমস্যায় পড়েছেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল আহম্মেদ জানান, হাতে লেখা ভিসা কোনো যাত্রীকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এরকম একটি পরিপত্র অফিসিয়ালি আসায় তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে এটা শুধু ২০১৭ সানের জানুয়ারি মাসের ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের যেসব হাতে লেখা পাসপোর্ট রয়েছে তাদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশকে জানুয়ারি মাসে হাতে লেখা ভিসার মাধ্যমে বিদেশি যাত্রীদের বাংলাদেশে না পাঠানোর জন্য জানানো হয়েছে। এখন যারা বাংলাদেশে আসতে চান, অবশ্যই তাদের ডিজিটাল স্টিকার লাগানো ভিসা আনতে হবে। ইতোমধ্যে যারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছেন, তাদের মধ্যে শুধু বিশ্ব ইজতেমায় আসা যাত্রীদের ছাড় দেয়া হচ্ছে। ভারতসহ অন্য দেশের যাত্রীদের ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। শুধুমাত্র কম্পিউটারাইজড স্টিক সম্বলিত ভিসা এলাও করা হবে।