রবিবার,২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


সরকারি অনুষ্ঠানে নিষিদ্ধা হোক মাংস, উঠল দাবি


পূর্বাশা বিডি ২৪.কম :
২৫.০৪.২০১৭

পূর্বাশা ডেস্ক:
সরকারি অনুষ্ঠানে নিষিদ্ধ করা হোক মাংস। এমনটাই দাবি তুলল পিপল ফর এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অফ অ্যানিমালস বা পেটা। এই আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বারস্থ হয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি জার্মানিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সে দেশের পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে সরকারি সব অনুষ্ঠানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে মাংস। সেই মডেলকে সামনে রেখেই দেশেও এর বাস্তবায়নের আবেদন পেটা-র। শুধু মাংসই নয়, এই তালিকায় থাকবে ডিম, মাখন, চিজের মতোও খাদ্যবস্তুও। অর্থাৎ যে সমস্ত খাবার প্রাণীদের থেকে পাওয়া যায় তা যেন সরকারি অনুষ্ঠানে পরিবেশন না করা হয়, আবেদন এমনটাই। প্রধানমন্ত্রী নিজে অবশ্য মাংস বা অন্যান্য আমিষ খাবার খান না। সেই মডেল যেন সরকারও অনুসরণ করে, পেটার ইচ্ছে এরকমই।

অবশ্য স্রেফ ইচ্ছের বশেই যে আবেদন করা হয়েছে এমনটা নয়। এর পিছনে নির্দিষ্ট যুক্তিও আছে। প্রাণীজাত খাবার পাওয়ার ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়। তাছাড়া জল ও ভূমিরও ব্যবহার হয় যথেচ্ছহারে। ফলে এই ধরনের খাবার তৈরিতে পরিবেশের ক্ষতির পরিমাণও কম নয়। সে কথা মাথায় রেখেই এই আবেদন করা হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় ভারত গোটা বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। সেই প্রেক্ষিতেই যদি এই মডেল অনুসরণ করা হয়, তবে গোটা বিশ্বের কাছে তা নমুনাস্বরূপ হবে বলেই বিশ্বাস পেটা-র।

পরিবেশ রক্ষায় নিরামিশাষি আহারের গুরুত্বের কথা স্বীকার করেছে রাষ্ট্রসংঘও। দেশের গবাদি পশুর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, মাংস ও দুধের জন্য যে পরিমাণ পশুপালন হয়, তাতে ব্যাপক পরিমাণে মিথেন গ্যাস নির্গত হয়। বিশ্ব উষ্ণায়নের ক্ষেত্রে যা অন্যতম ভূমিকা পালন করে। এছাড়া পশুদের প্রতি অবিচার তো আছেই। জন্ম হওয়া মাত্রই দুধের কারণে বাছুরকে তার মায়ের থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়। জীবন্ত অবস্থাতেই মুরগি, মাছ কাটা হয়। শূকর হত্যার পদ্ধতি তো আরও ভয়নাক। পরিবেশ ও পশুদের প্রতি নির্যাতন বন্ধ- দুই দিক মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই গুরুত্বপূর্ণ আর্জি পেশ করেছে পেটা।

পূর্বাশানিউজ/২৫-এপ্রিল,২০১৭/মাহি



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি