বৃহস্পতিবার,১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


আবার বাটলারের মুখোমুখি হয়ে অশ্বিন-ই জিতলেন


পূর্বাশা বিডি ২৪.কম :
১৭.০৪.২০১৯

ডেস্ক রিপোর্ট :

কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ইনিংসে আক্ষেপ ছড়িয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। ফিফটি (৫২) তুলে নিলেও ৪৭ বলের ইনিংসটি বেশ ধীরলয়ের ছিল। যে কারণে পাঞ্জাব ৬ উইকেটে ১৮২ রান তুললেও আক্ষেপ ছিল রাহুল আরেকটু হাত খুললে সংগ্রহটা আরও বড় হতে পারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই রানই পাঞ্জাবের জয়ের জন্য পর্যাপ্ত বলে প্রমাণ করেছেন দুই অশ্বিন। অবশ্য রাজস্থান রয়্যালস ওপেনার রাহুল ত্রিপাঠির অবদানও কম নয়।

দুই অশ্বিনের প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। আগে ত্রিপাঠির ইনিংসের ব্যবচ্ছেদ হোক। রাহুলের প্রায় ‘কার্বন কপি’ ইনিংস-ই খেলেছেন ত্রিপাঠি। রাজস্থানের হয়ে ওপেন করে ৪৪ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ব্যাটসম্যান। জয় থেকে রাজস্থান তখন ২৪ বলে ৫৬ রানের দূরত্বে। ত্রিপাঠির ইনিংসটি তাই রাজস্থান ভক্তদের মনেও আক্ষেপ ছড়িয়েছে। মাত্র ৪টি চারের এই ইনিংস আরেকটু মারমুখী হলে রাজস্থান হয়তো জয়ের মুখ দেখত। শেষ পর্যন্ত ১২ রানে হারতে হয়েছে দলটিকে।

ত্রিপাঠিকে অশ্বিন তুলে নেওয়ার পর শেষের ব্যাটসম্যানেরাও সেভাবে হাত খুলতে না পারায় ৭ উইকেটে ১৬৮ রানেই থেমেছে রাজস্থানের ইনিংস। এই হারে রাজস্থানের শীর্ষ চারে ওঠার স্বপ্নও বেশ ফিকে হয়ে গেল। ৮ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাতে ধুঁকছে অজিঙ্কা রাহানের দল। ২১ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলা রাহানে নিজেও তাঁর দলের জয় এনে দিতে পারেননি। অধিনায়ক রবিচন্দ্র অশ্বিন ও মুরুগান অশ্বিনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠল পাঞ্জাব।

আইপিএলের এই ম্যাচে অশ্বিন-বাটলারের ফের মুখোমুখি হওয়া আগেই বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। এর আগের মুখোমুখিতে রাজস্থানের ব্যাটসম্যান জস বাটলারকে ‘মানকাড’ আউট করেছিলেন অশ্বিন। ভীষণ বিতর্ক ও আলোচনার জন্ম দিয়েছিল সেই আউট। অশ্বিন বলেছিলেন ‘আইনের মধ্যে থেকেই’ আউট করেছেন। বাটলার প্রশ্ন তুলেছিলেন আউটের বৈধতা নিয়ে। ভেবে নেওয়া হয়েছিল, আবারও অশ্বিনের দলের মুখোমুখি হয়ে বাটলার হয়তো ব্যাট হাতেই প্রতিশোধ তুলে নেবেন। ওপেন করতে নেমে এই ইংলিশ হার্ড হিটার শুরুটা ভালোই করেছিলেন। কিন্তু ২ ছক্কা ও ১ চারে ফিরেছেন ১৭ বলে ২১ রান করে।

মাঝে সঞ্জু স্যামসনের ২১ বলে ২৭ রাজস্থানের রানের গতি সেভাবে বাড়াতে পারেনি। ২ উইকেটে ১২৭ রান তোলা রাজস্থান পরের ৬ রানের মধ্যে হারিয়েছে ৩ উইকেট। মূলত এই ছোট্ট মড়কের জন্যই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েছে রাহানের দল। জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে ৩৭ রান দরকার ছিল রাজস্থানের। উইকেটের এক প্রান্তে ছিলেন ১৮ বলে ২৪ রান করা রাহানে অন্য প্রান্তে ৩ বলে ১১ রান করা স্টুয়ার্ট বিনি। রানের চাপ সইতে না পেরে আরশদ্বীপ সিংকে উইকেট দেন রাহানে (২১ বলে ২৬)।

রাহানের ধীর গতির ইনিংসও আক্ষেপ ছড়াবে রাজস্থান ভক্তদের মধ্যে। বিনি ( ১১ বলে ৩১) ৩ ছক্কা ও ১ চারে শেষ দিকে লড়াই করলেও অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানেরা সেভাবে রান না তোলায় দেরি হয়ে যায়। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ২৩ রান দরকার ছিল রাজস্থানের। মোহাম্মদ শামি শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। রাজস্থানের ইনিংসে মাঝ পথে দারুণ বল করে চাপ বিস্তার করেছিলেন দুই অশ্বিন। অধিনায়ক অশ্বিন ২৪ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। আর মুরুগান অশ্বিনও ২৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। শামি ২ উইকেট নিলেও ৪৪ রান দেওয়ায় দুই অশ্বিনই এই ম্যাচে পাঞ্জাবের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে ভালো করেছেন।



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি