ডেস্ক রিপোর্ট:
দুই দিন ধরে দুই বছরের শিশুর সন্ধান মিলছিল না। তবে শেষমেশ প্রতিবেশীর দরজায় ঝুলন্ত এক ব্যাগে মিলে ওই শিশুর লাশ। ভারতের নদীয়া ঘটেছে এ ঘটনা। দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে আজ সোমবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যখন ওই শিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তখন অভিযুক্ত ব্যক্তি শিশুটির বাবা-মাকে শিশুটিকে খোঁজার কাজে সাহায্যের ভান করেন। তবে শিশুটির পচা লাশের গন্ধ যখন তার বাড়ি থেকে আসছিল তখন তিনি পালিয়ে যান।
দুই বছরের শিশু মানসী বাবা-মা এবং সাত মাসের ভাইসহ দেভলা গ্রামে এক ভাড়া বাসায় থাকতেন। বাবা-মা দুইজনেই দিন মজুরির কাজ করতেন কাছের এক ফ্যাক্টরিতে। গত শুক্রবার শিশুটির বাবা শিব কুমার কাজে যান এবং তার মা মঞ্জু বাজারে যান। এরপর তারা বাড়িতে ফিরলে আর মানসীকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এরপর এ নিয়ে তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
দুই দিন খোঁজাখুঁজির পর শিব কুমার অভিযোগ করেন, তার প্রতিবেশী রাঘবেন্দ্রের তালাবদ্ধ বাড়ি থেকে উৎকট গন্ধ আসছে। এরপর পুলিশের সাহায্য নিতে তারা রাঘবেন্দ্রের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সেখানে বাড়ির দরজায় এক ব্যাগে ঝুলছিল মানসীর দেহ।
ময়না তদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
নদিয়া পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা রাজীব দীক্ষিত বলেছেন, ওই শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে শুরুতে ধারণা করা হচ্ছিল, কিন্তু ময়না তদন্তের রিপোর্টে তা নিশ্চিত কিছু আসেনি। পলাতক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।