মিডিয়ার ভেতরে যে ফ্যাসিবাদ প্রবেশ করেছে, তা থেকে বের হওয়ার জন্য একটি রূপরেখা প্রয়োজন। মিডিয়ার সুশাসনের বিষয়টি মিডিয়ার ভেতর থেকেই নির্ধারণ করা উচিত। দেশের গণমাধ্যমে মিসইনফরমেশন নানাভাবে ছড়ানো হয়েছে। দল হিসেবে আমরা এর শিকার হয়েছি এবং হচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
রোববার (৪ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমাদের বক্তব্য নানা সময় ভুলভাবে ছড়ানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যমের সম্পর্ক আরও ইতিবাচক হবে। মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতিশ্রুতি আমরা সবাই দিচ্ছি। গণমাধ্যমের সংস্কার দ্রুত হওয়া দরকার।”
তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যমের মালিকানার বিষয়টি সুস্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় থাকায় তারা সাধারণ মানুষের কথা বলে না। একজন মালিকের অধীনে কয়টি পত্রিকা থাকতে পারবে, তার জন্য নীতিমালা প্রয়োজন।”
তিনি উল্লেখ করেন, “মুক্ত গণমাধ্যম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সব ধরনের চাপ থেকে মুক্ত হয়ে গণমাধ্যম কাজ করতে পারবে।”
নাহিদ বলেন, “গণমাধ্যমের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ কমেছে, কিন্তু সামাজিক চাপ তৈরি হয়েছিল। কেন এই সামাজিক চাপ তৈরি হলো, তা বিশ্লেষণ করতে হবে। আমরা কোনো গণমাধ্যম বন্ধের পক্ষে নই। আমরা মুক্ত গণমাধ্যমের পক্ষে। বাংলাদেশে একটি মুক্ত গণমাধ্যম ও সত্যিকারের গণতন্ত্র গড়ে উঠবে বলে আমরা আশা করি।”
সেমিনারে নাহিদ ইসলাম ছাড়াও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম, সহ-সভাপতি নুরুল কবীর, সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।