পূর্বাশা ডেস্ক:
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার জোর করে সীমান্ত বন্ধ করবে না। যে পর্যন্ত জাতিসংঘ ও বিশ্ব জনমতের চাপে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধন বন্ধ না হবে।
রোববার (০৮ অক্টোবর) হোটেল রেডিসনের সামনে এয়ারপোর্ট সড়কে নিরাপত্তা ক্যাম্পেইন এবং বিআরটিএ পরিচালিত মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
বিএনপি কূটনৈতিক উদ্যোগের বর্থ্যতার যে কথা বলছে সে প্রসঙ্গে মন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, যদি কূটনৈতিক উদ্যোগ ব্যর্থ হতো তাহলে মিয়ানমারের সুর নরম হলো কিভাবে। তাদের মন্ত্রী এসে যৌথভাবে কাজের সিদ্বান্ত নিয়েছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, স্পটে ২২দিন ছিলাম। রোহিঙ্গাদের জনস্রোত নিজে দেখেছি। জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে আরও রোহিঙ্গা জনস্রোত আসবে।
মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের কঠোর অবস্থান নেয়া উচিত, যাতে করে নতুন করে ইনফ্ল্যাক্স না হতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব জনমত ও জাতিসংঘ ও কূটনৈতিক উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ সীমান্তে সামরিক হস্তক্ষেপ বন্ধ হয়েছে।
‘রোহিঙ্গাদের ঢলের পেছনে চক্রান্ততো একটা আছে, সে চক্রান্তের স্বরূপটা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না’ -এও বলেন মন্ত্রী।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেকেই নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে যখন সীমান্তের দরজা খুলে দিয়েছি তখন কি এমন কারণ ঘটলো যে মানবিক দৃষ্টিকোনের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। যতদিন না পর্যন্ত জাতিসংঘ সহ বিশ্বজনমতের চাপে রোহিঙ্গা নিধন বন্ধ হবে না ততদিন সীমানা বাংলাদেশ জোর করে বন্ধ করবে না।
মন্ত্রী বলেন, এটা মানবিক সমস্যা। যত দ্রুত সম্ভব তাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নেয়া হয় ততই ভালো। এজন্য প্রতিবেশি দেশ ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘকে জোর পদক্ষেপের আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
‘কারণ প্রতিবেশির ঘরে যদি আগুন লাগে তাহলে অন্যান্য প্রতিবেশির ঘরেও এ আগুনের আঁচ লাগবে’- বলেন মন্ত্রী।
সূত্রে :বাংলানিউজ।
২০১৭/মাহি