প্রচ্ছদ 
জিম্মি মুক্তির জন্য হামাস যে শর্ত দিল
গাজায় ইসরাইলের হামলা বন্ধ না হলে কোনো জিম্মির মুক্তি দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন হামাসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান খালিল আল-হাইয়া।
বুধবার (২০ নভেম্বর) হামাসের টেলিভিশন চ্যানেল আল-আকসাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন। এ খবর জানিয়েছে আল আরাবিয়া।
যুদ্ধ বন্ধের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে আল-হাইয়া বলেন, হামলা বন্ধ না হলে কোনো বন্দি-বিনিময়ের চুক্তি সম্ভব নয়। তিনি প্রশ্ন করেন, “কেউ কি যুদ্ধ চলাকালে নিজের কৌশলের মূল অস্ত্র তুলে দেবে? আগ্রাসন বন্ধ না হলে হামাস কেন বন্দিদের মুক্তি দেবে?”
হাইয়া জানান, তিনি কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনার মূল দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় তিনি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজায় গণহত্যার জন্য দায়ী করেন এবং বন্দি বিনিময়ের চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পেছনেও তাকে দায়ী করেন।
তিনি আরও বলেন, “কিছু দেশ এবং মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা চালানো হচ্ছে চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য। আমরা এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইসরাইলের পক্ষ থেকে আগ্রাসন বন্ধের বাস্তব ইচ্ছার উপস্থিতি।”
হামাস নেতা দাবি করেন, “বাস্তবতা প্রমাণ করে যে নেতানিয়াহুই এই চুক্তির পথে প্রধান বাধা।”
অন্যদিকে, গাজা সফরে গিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, “যুদ্ধের পর হামাস আর গাজার শাসন করতে পারবে না। ইসরাইল হামাসের সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করে দিয়েছে।”
তিনি আরও জানান, গাজায় বন্দি থাকা ১০১ জনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে এবং প্রত্যেক বন্দি উদ্ধারের জন্য ৫ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
