বৃহস্পতিবার,৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল সেন্টার নেই


পূর্বাশা বিডি ২৪.কম :
০৫.১২.২০১৪

 

তোফায়েল আহমাদ,কুবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যাল (কুবিতে) রেই পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল সেন্টার। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নীচ তলায় এক কক্ষ বিশিষ্ট মেডিকেল সেন্টারে দায়সারাভাবে দেওয়া হচ্ছে চার জাহার শিক্ষার্থী সহ তিন শতাধিক শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর চিকিৎসা সেবা। তিনজন ডাক্তার, একজন মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট, একজন নার্স এবং একজন অফিস সহকারী দিয়ে কেন্দ্রটি চলছে। তারা সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যান।

শুক্র ও শনিবারসহ অন্যান্য ছুটির দিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলে মেডিকেল সেন্টার ও বন্ধ থাকে। এখানে কোন আবাসিক ডাক্তার নেই। একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও তার মেডিকেল সেন্টারের আওতাধীন নয়। রয়েছে ঔষুধের অপর্যাপ্ততাও। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, ছাত্র সংগঠন, শিক্ষক সমিতি সহ সবার পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় বারবার দাবি জানানো হলেও প্রশাসন থেকে স্বতন্ত্র মেডিকেল সেন্টার প্রতিষ্ঠার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আলী আশরাফ বলেন, “এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল সেন্টার প্রতিষ্ঠার কোন পরিকল্পনা নেই, যে মেডিকেল সেন্টার আছে তা আরো বৃদ্ধি করে করার কথা ভাবছি আমরা।

আবাসিক ডাক্তারের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, বর্তমানে মেডিকেল সেন্টারে ডাক্তারের কোন শূণ্য পদ নেই। এখন থেকে ৩ জন ডাক্তার পালাক্রমে ২৪ ঘন্টা ডিউটি করবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান একটি ছোট রুমে এতগুলো মানুষ গাদাগাদি করে বসে। অনেক সময় রোগ সংক্রান্ত গোপন বিষয়ে খোলামেলা বলা যায় না। ডাক্তারদের জন্য আলাদা রুম থাকা দরকার।

সিনিয়ার অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, পর্যায়ক্রমে ডিউটি করার জন্য ডাক্তারদের পরিবহন ও আবাসিক সুবিধা সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা দরকার। তিনি আরো জানান, স্বতন্ত্র মেডিকেল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হলে সকল ছোটখাট সমস্যাও দূর হয়ে যাবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাম্বুলেন্সটি মেডিকেল সেন্টারের অধীনে দেওয়া উচিত এবং বার্ষিক বরাদ্দ ৭৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি ৫ লাখ টাকার উন্নীত করা দরকার।

এ বিষয়ে উপাচার্য জানান, বর্তমানে মেডিকেল সেন্টারে ঔষুধের অপর্যাপ্ততা রয়েছে, যা কয়েক দিনের মধ্যে বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করে বার্ষিক ৭৫ হাজার টাকায় বরাদ্দকে বাড়িয়ে যুগোপযোগী করা হবে বলে জানান তিনি।



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি