বৃহস্পতিবার,২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


কক্সবাজার প্রস্তুত পর্যটক বরণে


পূর্বাশা বিডি ২৪.কম :
১৫.১২.২০১৬

coxbazar_11347-550x367

ডেস্ক রিপোর্টঃ

বিজয় দিবসকে সামনে নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্রসৈকতের নগরী কক্সবাজারে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। বিজয় দিবস ও থার্টিফার্স্ট নাইটকে উপলক্ষ করে চলতি মাসেই এখানে পাঁচলক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে বলে জনিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা আরো জানিয়েছেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত হওয়ায় মওসুমের প্রথম দিকে পর্যটকেরা কক্সবাজারে আসা শুরু করেছে। একইভাবে পর্যটক বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে প্রশাসনের। জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, পর্যটক বরণে জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে গত মঙ্গলবার থেকে সব হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউজের ৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে গেছে। ফলে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প। শীত মওসুম শুরুর সাথে সাথে পর্যটকদের আগমন শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক পযর্টক কক্সবাজারে এসেছেন। পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে সংশ্লিøষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যটনের মূল মওসুম শুরু হয় ডিসেম্বর মাস দিয়ে। সে অনুসারে পর্যটকের আনাগোনা বাড়ছে। এরই মধ্যে লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করছে।

হোটেল-মোটেল গেস্টহাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার জানান, ‘কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের মওসুম শীতনির্ভর। শীতকালেই কক্সবাজারে সর্বোচ্চ পর্যটকের সমাগম ঘটে। শীতের প্রারম্ভের মাস হিসেবে ডিসেম্বর মাস দিয়ে কক্সবাজারের পর্যটন মওসুম শুরু হয়। এবারো মওসুম শুরুর সাথে পর্যটকও আসা শুরু করেছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে গত মঙ্গলবার থেকে সব হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউজের ৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে গেছে।

গতকাল বুধবার কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ঘুরে দেখা গেছে, সৈকতজুড়ে স্থানীয় লোকজনের সমাগমের মধ্যে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের উপস্থিতি। সৈকতের পুরো এলাকায় দল বেঁধে এসব পর্যটক বিচরণ করছেন।

টুর অপারেটরস অব কক্সবাজারের (টুয়াক) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম কিবরিয়া জানিয়েছেন, কক্সবাজার বেড়াতে আসা পর্যটকেরা শহর ছাড়িয়ে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, হিমছড়ি, ইনানী, দরিয়ানগর, ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, সোনাদিয়া ও অন্যান্য পর্যটন স্পটেও বেড়াতে যাচ্ছেন। দৈনিক চারটি জাহাজে করে ১২০০ পর্যটক সেন্টমার্টিনে যাচ্ছেন।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে চলতি মওসুমে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পর্যটক কক্সবাজারে বেড়াতে আসবেন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পর থেকে পুরোদমে পর্যটক আসবেন।

জানা গেছে, মওসুম উপলক্ষে কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। অবকাঠামো তৈরি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নতুন রূপে গড়া ও সাজসজ্জাসহ সব রকমের কাজ শেষ করে পর্যটকদের সার্বিক সেবা দেয়ার জন্য তারা পুরোপুরি প্রস্তুত।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী সুপার রায়হান কাজেমী বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত, ইনানী, হিমছড়ি টেকনাফ সৈকত ও সেন্টমার্টিনে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল দল নিয়োজিত থাকবে। সাথে সাথে সাদা পোশাকেও পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।’



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি