শুক্রবার,১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • প্রচ্ছদ » জাতীয় » নিখোঁজের ১১ মাস পর প্রেমিকের বাড়ি থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার


নিখোঁজের ১১ মাস পর প্রেমিকের বাড়ি থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার


পূর্বাশা বিডি ২৪.কম :
১০.০১.২০২১


ডেস্ক রিপোর্টঃ

মাদারীপুরে নিখোঁজের ১১ মাস পর শনিবার (৯ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে কালকিনি উপজেলার ডাসার থানাধীন পূর্ব বোতলা গ্রামে প্রেমিকের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রেমিক সাহাবুদ্দিনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১১ মাস আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া কিশোরী মুর্শিদার মরদেহ উদ্ধার করে তারা।

পুলিশ জানায়, পূর্ব বোতলা গ্রামের চাঁনমিয়া হাওলাদারের দশম শ্রেণীর ছাত্রী মুর্শিদা আক্তারের সাথে একই গ্রামের মজিদ আকনের ছেলে সাহাবুদ্দিন আকনের প্রেমের সম্পর্ক হয়। এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মুর্শিদাকে বাড়ি থেকে চিকিৎসা করানো কথা বলে নিয়ে যায়। এরপর নিখোঁজ থাকায় গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদার পরিবার ডাসার থানায় একটি জিডি করে। এতে কোন প্রতিকার না হওয়ায় ৪ মার্চ সাহাবুদ্দিনসহ ৫ জনকে আসামি করে ডাসার থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন মুর্শিদার মা মাহিনুর বেগম।

দীর্ঘদিন মামলার কোন অগ্রগতি না হওয়া মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তরের আবেদন করে বাদীপক্ষ। পরে মামলাটি মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তভার গ্রহণ করে।

এরপর বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) মামলার আসামি সাহাবুদ্দিন আকন আদালতে আত্মসমর্পণ করে। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই তারিকুল ইসলাম আসামি সাহাবুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে। আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

শনিবার বিকেলে সাহাবুদ্দিন হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্বীকার করে এবং লাশ গুম করার কথাও স্বীকার করে। সাহাবুদ্দিনের দেয়া তথ্য মোতাবেক শনিবার রাত ৮টার দিকে সাহাবুদ্দিনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মুর্শিদার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান জানান, সাহাবুদ্দিনের দেয়া তথ্য মোতাবেক আসামির বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি