শুক্রবার,১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


ছাত্রলীগের দাপটে ইবিতে সহিংসতার শিকার শিক্ষার্থীরা : মহিলা পরিষদ


পূর্বাশা বিডি ২৪.কম :
১৬.০২.২০২৩

ডেস্ক রিপোর্ট:

মহিলা পরিষদের দাবি ছাত্রলীগের দাপটে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রতি নানা ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

ইবি’র নবীন শিক্ষার্থীকে হলের গণরুমে রাতভর নির্মমভাবে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মহিলা পরিষদ। ওই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠনটি।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর স্বাক্ষর করা বিবৃতিতে এসব দাবি করেন তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও তার সহযোগীদের দ্বারা নবীন শিক্ষার্থীকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ডেকে নিয়ে রাতভর শারীরিক, মানসিক নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের মত ঘটনা ঘটেছে।

ইবির উদ্বোধনী ক্লাসে উপস্থিত হতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা হলের ৩০৬ নম্বর রুমে এলাকার পরিচিত আপুর কাছে আসেন ওই নবীন ছাত্রী। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ইবি ছাত্রলীগের কর্মী তাবাসসুম তাকে রুমে দেখা করতে বললে অসুস্থ থাকায় যথাসময়ে তিনি রুমে যেতে পারেননি। পরে ওই ছাত্রী দেখা করতে গেলে তারা তার সঙ্গে খারাপ আচরণ, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হল থেকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন।

এ ঘটনার জেরে ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগী তাবাসসুমসহ ৭-৮ জন নেতাকর্মী ওই নবীন ছাত্রীকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে নিয়ে যায়। এসময় তার মুখ চেপে ধরে নির্মমভাবে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন করে বিবস্ত্র করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে।

এ ঘটনা কাউকে জানালে হল থেকে বের করে দেওয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরালের হুমকি দেওয়া হয়। পরদিন মঙ্গলবার সকালে নির্যাতনের শিকার ছাত্রী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

মহিলা পরিষদ গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, ছাত্রলীগের দাপটের কারণে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রতি নানা ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলেছে। বিবস্ত্র করে সেটার ভিডিও ধারণের ঘটনায় আমরা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ। এতে ছাত্রীর মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। নারী শিক্ষার্থীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। তাদের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়।



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি