প্রচ্ছদ 
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাব, বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে এবং একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। লঘুচাপটি যদি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়, তাহলে এর নাম হবে ‘ডানা’, যা কাতারের দেওয়া।
সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে, যাতে তারা দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, আজ (২১ অক্টোবর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ।
মোস্তফা কামাল আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ ২৩ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকে ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে সরাসরি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে স্থলভাগে আঘাত করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন যে, ঘূর্ণিঝড়টি সম্ভবত একই পথে অগ্রসর হবে, যে পথে পূর্বে ঘূর্ণিঝড় আম্পান স্থলভাগে আঘাত করে অগ্রসর হয়েছিল। অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গের মেদেনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা এবং বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত করার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, লঘুচাপটি আজ সোমবার থেকে ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি কতটা শক্তিশালী হবে এবং এর গতিপথ কী হবে, তা এখনো নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবারের মধ্যে সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
