ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ১৪ জেলায় বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে উপকূলীয় ১৪ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, আবহাওয়া অধিদপ্তর এমন তথ্য জানিয়েছে। এসব এলাকায় ২-৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হতে পারে বলে তারা সতর্ক করেছে।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তার আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। দুপুর ১২টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ মধ্যরাতের মধ্যে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের পুরী ও সাগর দ্বীপের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং এসব এলাকার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এছাড়া, উত্তাল সমুদ্র এবং গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ এবং দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।