প্রচ্ছদ 
প্রিয়াংকা চোপড়া কি ভারতীয় প্রেক্ষাপটে আর কাজ করবেন না?
বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রীরা বর্তমানে বিদেশমুখী। অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা এখন লন্ডনে সংসার পেতেছেন, এবং অভিনেত্রী তাপসী পান্নুও বিদেশে চলে গেছেন।
বেশ কয়েক বছর ধরে হলিউডে কাজ করছেন প্রিয়াংকা চোপড়া। তিনি বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসে বসবাস করছেন। ভারতে ফিরে আসবেন কিনা, তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। প্রশ্ন উঠছে, তিনি কি আবার হিন্দি ছবিতে কাজ করবেন? কারণ এর মধ্যেই প্রিয়াংকা তার প্রযোজনা সংস্থাও ভারত থেকে বন্ধ করে দিয়েছেন।
যখন প্রিয়াংকা হলিউডে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন তার মা মধু চোপড়া তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ভারতে একটি ভিত্তি রেখে যেতে, যাতে ভবিষ্যতে সমস্যা হলে দেশে ফিরে আসার মতো কিছু থাকে। তাই তিনি প্রযোজনা সংস্থার শুরু করেছিলেন।
আনন্দবাজারের সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর মা মধু চোপড়া জানিয়েছেন যে, প্রিয়াংকার প্রযোজনা সংস্থার সমস্ত কার্যক্রম মুম্বাই থেকে সরিয়ে আমেরিকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কেন এমন সিদ্ধান্ত? তাহলে কি প্রিয়াংকা আর ভারতে ফিরতে চান না?
কিছুদিন আগে একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রিয়াংকা চোপড়া দাবি করেছিলেন, তিনি আবার হিন্দি ছবিতে কাজ করতে চান। তিনি বলেন, “আমি এখানে বহু চলচ্চিত্র নির্মাতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি এবং চিত্রনাট্য পড়েছি। আমি সত্যিই হিন্দি ছবিতে কাজ করতে চাইছি। এবছর খুবই ব্যস্ত ছিলাম, কিন্তু আমার তুরুপের তাস আস্তিনে রয়েছে, সময়মতো সেটি বের করব।”
এদিকে, প্রিয়াংকা চোপড়া সিটাডেল সিরিজের শুটিংয়ে এতদিন ব্যস্ত ছিলেন, তবে সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন যে শুটিং শেষ হয়েছে এবং এখন তিনি কিছুদিনের বিরতি নিচ্ছেন। এই সময়টা তিনি তার মেয়ে মালতীর সঙ্গে কাটাচ্ছেন। প্রিয়াংকা তার মেয়ে মালতীকে ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করাচ্ছেন। দীপাবলি পালন বা আটার রুটি বানানো— সব কিছুতেই তার মেয়ের সঙ্গে রয়েছেন। ভারতীয় অনুরাগীরা এই বিষয়টি খুব খুশি মনে গ্রহণ করেছেন।
তবে এরই মধ্যে মধু চোপড়া জানিয়েছেন অন্য কথা। তিনি বলেন, “আমরা প্রযোজনা সংস্থাটি আমেরিকায় সরিয়ে নিয়েছি। এখন আমরা আর কোনো ভারতীয় ছবি প্রযোজনা করব না। তবে ঈশ্বর চাইলে প্রিয়াংকা যদি ভারতে আবার ছবি করতে আসে, আমরা তখন বিষয়টি পুনরায় ভাববো।” প্রিয়াংকার প্রযোজনা সংস্থা ‘ভেন্টিলেটর’, ‘পানি’র মতো পুরস্কৃত ছবির প্রযোজনা করেছে।
মধু চোপড়া আরও বলেন, “আমরা প্রযোজনা সংস্থাটি ‘প্ল্যান বি’ হিসাবে শুরু করেছিলাম। মূলত আঞ্চলিক ছবির জন্য কাজ করে আমাদের সংস্থা। নতুন পরিচালক এবং অভিনেতাদের সাহায্য করাই ছিল আমাদের লক্ষ্য।”
