রবিবার,৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেমেছে ইসি: নাসির


পূর্বাশা বিডি ২৪.কম :
২০.০১.২০২৫

মানুষের ভোটের অধিকারমানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেমেছে ইসি: নাসির

ডেস্ক রিপোর্ট:

ভেঙে পড়া নির্বাচন ব্যবস্থার উত্তরণে দেশের সব মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই না অনিয়ম হোক। সত্যিকারভাবে নির্বাচন বলতে যা বোঝায় তা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। নির্বাচনের নামে প্রহসন চাই না। (ভোটার) হালনাগাদ থেকে শুরু করে ভোট দেওয়া, রেজাল্ট পযন্ত এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় আমরা সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা চাই।’

সোমবার ঢাকার সাভারে ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ তথ্য সংগ্রহ কর্মসূচি চলবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ, ছবি তোলা এবং অন্যান্য কার্যক্রম চলবে। জুনের মধ্যে এই কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।

২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম, যারা বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার তালিকাভুক্তি ও মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ঠিকানা স্থানান্তরের সুযোগ এবারের হালনাগাদে রাখা হয়েছে।

ভোটার হালনাগাদ কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেন নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘যেদিন মানুষ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে, মুক্ত ও ন্যায়সঙ্গতভাবে এবং ভয়ভীতিহীনভাবে; সেদিন আমরা মনে করব ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা নেমেছি। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের এই কাজ করতে হবে।’

ভোটের অধিকার আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘বাঙালি জানে ঐক্যবদ্ধ হতে; অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাঙালি জানে লড়াই করতে। বাংলাদেশিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ভোটের অধিকার আদায় করবে—আমাদের নেতৃত্বে; আমরা আপনাদের সাথে আছি।’

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত ভোটে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এই প্রসঙ্গে মানুষের ভোটের প্রতি আগ্রহ হারানোর কথা তুলে ধরেন নাসির। তিনি বলেন, ‘মানুষ তো ভোটের প্রতি আগ্রহই হারিয়ে ফেলেছে। অনেক তরুণ আমার কাছে এসে বলেছে, তারা ভোট দিতে পারেনি। তাদের আমি ভোটের ব্যবস্থা করে দিতে চাই। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শুরু হয়েছে। এই সুযোগ সদ্ব্যবহারের যাত্রা শুরু হলো; দীর্ঘ পথ। ভোটার ক্যাম্পেইন থেকে শুরু করে পছন্দের ভোট দেওয়া, ভোট গণনা করা—এ পুরো প্রক্রিয়ায় আমি আপনাদের সাথে চাই।’

ভোটের অনিয়ম বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ারও আহ্বান জানান সিইসি নাসির। তিনি বলেন, ‘ভোটের দিন যাতে কেউ আপনার অধিকার হরণ করতে না পারে, ভোটকেন্দ্র দখল করতে না পারে, ব্যালট বাক্স কেড়ে নিতে না পারে—ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। নিজের অধিকার রক্ষার জন্য আমরা এক হতে পারি না? কেন্দ্র পাহারা দেব, কেন্দ্র দখল করতে দেব না; অনিয়মের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ধারণা দিয়েছেন, এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হতে পারে। সরকার প্রধানের সেই সম্ভাব্য সময়সূচি ধরেই ইসি কাজ করে যাওয়ার কথা বলছে। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে আগামী জুলাই-অগাস্টের মধ্যে নির্বাচন দাবি করা হয়েছে।



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি