বুধবার,১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ


পূর্বাশা বিডি ২৪.কম :
০৯.০৩.২০২৫

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ
ডেস্ক রিপোর্ট:

মাগুরায় আট বছরের একটি শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এদিকে, শনিবার সকালে শিশুটির মা এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন যে, তার মেয়ের স্বামী (জামাই) এবং তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেছেন। এ ঘটনায় মেয়ের শাশুড়ি ও ভাসুরও জড়িত ছিলেন। পরে তারা ঘটনাটি গোপন করতে শিশুটিকে হত্যার চেষ্টা করেন। মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৪)–এর ক/৩০ ধারায় ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগ আনা হয়। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চার মাস আগে মাগুরা পৌর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে শিশুটির বড় বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বড় মেয়েকে অনৈতিক প্রস্তাব দিচ্ছিলেন তার শ্বশুর। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিষয়টি জানতেন এবং এ নিয়ে পরিবারে ঝগড়াও হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ১ মার্চ শিশুটি তার বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়।

ঘটনার বর্ণনায় বাদী উল্লেখ করেন, গত বুধবার (৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে শিশুটি তার বড় বোন ও তার স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমায়। রাত আড়াইটার দিকে বড় বোন ঘুম থেকে জেগে দেখেন যে, তার ছোট বোন পাশে নেই এবং মেঝেতে পড়ে আছে। শিশুটি তখন বড় বোনকে জানায় যে তার জ্বালাপোড়া হচ্ছে। বড় বোন প্রথমে মনে করেন যে শিশুটি ঘুমের মধ্যে আবোল-তাবোল বকছে। সকাল ছয়টার দিকে শিশুটি আবার জ্বালাপোড়ার কথা বললে বড় বোন কারণ জিজ্ঞাসা করেন। তখন শিশুটি জানায় যে রাতে তার দুলাভাই (বোনের স্বামী) দরজা খুলে দিলে তার বাবা (শ্বশুর) তার মুখ চেপে ধরে তাকে তার কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। শিশুটি চিৎকার করতে গেলে তার গলা চেপে ধরা হয়। পরে তাকে আবার বোনের কক্ষের মেঝেতে ফেলে রেখে যায়।

ঘটনা জানার পর শিশুটির বড় বোন তার মাকে ফোন করে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করলে তার স্বামী ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে মারধর করেন। তিনি শিশুটিকে হত্যার হুমকি দেন এবং দুই বোনকে আলাদা দুটি কক্ষে আটকে রাখেন। সকালে এক নারী প্রতিবেশী বাড়িতে এলে বোনের ভাসুর দরজা খুলে দেন। তখন শিশুটির মাথায় পানি দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে বোনের শাশুড়ি প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে গিয়ে শাশুড়ি চিকিৎসকদের জানান যে মেয়েটিকে জিনে ধরেছে। তবে চিকিৎসক ও অন্যরা বিষয়টি টের পেলে শাশুড়ি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পরে বাদী হাসপাতালে পৌঁছান।



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি