মঙ্গলবার,৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতায় নতুন অধ্যায়


পূর্বাশা বিডি ২৪.কম :
০৭.১০.২০২৫

পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতায় নতুন অধ্যায়

পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতায় নতুন অধ্যায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতায় শুরু হয়েছে নতুন এক অধ্যায়। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তান বিমানবাহিনীকে (পিএএফ) উন্নতমানের এয়ার-টু-এয়ার নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে।

ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত সরকারি নথি অনুযায়ী, নতুন চুক্তির আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে পাকিস্তান পাবে সর্বাধুনিক এআইএম-১২০ডি-৩ মধ্যপাল্লার এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র।

প্রায় আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের এই প্রকল্পে অস্ত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রে-থিয়ন কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুধু পাকিস্তানই নয়, তুরস্কসহ আরও কয়েকটি মিত্র দেশও এই চুক্তির আওতায় ক্ষেপণাস্ত্র পাবে বলে মার্কিন যুদ্ধ বিভাগ জানিয়েছে।

এআইএম-১২০ডি-৩ হচ্ছে এএমআরএএএম পরিবারের সর্বাধুনিক সংস্করণ, যা দূরপাল্লার আকাশযুদ্ধে শত্রু বিমান ও আসন্ন ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে সক্ষম।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এই ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত হলে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বহরের আকাশযুদ্ধের সক্ষমতা ও প্রতিরক্ষা শক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে পাকিস্তান এআইএম-১২০সি-৫ সংস্করণ ব্যবহার করছে, যা ২০১০ সালে এফ-১৬ ব্লক ৫২ বিমান ক্রয়ের সময় সরবরাহ করা হয়েছিল।

একজন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ বলেন, “এআইএম-১২০ডি-৩ ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তান বিমানবাহিনীকে দূরপাল্লার আকাশযুদ্ধে নির্ভুলতা ও পাল্লার দিক থেকে বাড়তি সুবিধা দেবে। এটি তাদের আধুনিকায়নের এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।”

বেশ কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তান আধুনিক প্রজন্মের এএমআরএএএম ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়ার চেষ্টা করে আসছিল। অবশেষে গত জুলাই মাসে বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল জহির আহমেদ বাবর সিদ্দিকীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর এ বিষয়ে অগ্রগতি ঘটে।

এরপর সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এতে দুই দেশের সামরিক সম্পর্কের পুনরুজ্জীবনের ইঙ্গিত মিলেছে।

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানের সামরিক উন্নয়ন কৌশল এখন দক্ষতা ও আত্মনির্ভরতার ওপর ভিত্তি করে।

ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য প্রতিযোগিতা নয়, বরং প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা। আমরা পূর্ব বা পশ্চিম—সব দিক থেকেই উন্নত প্রযুক্তি গ্রহণে প্রস্তুত।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের সামরিক উন্নয়ন কৌশল কার্যকর ও দক্ষ প্ল্যাটফর্ম এবং দেশীয় প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তির ওপর নির্ভরশীল। আমরা নিজেরাও প্রযুক্তি তৈরি করছি, পাশাপাশি প্রয়োজনীয় বিদেশি প্রযুক্তিও গ্রহণ করছি।”

সূত্র: সামা টিভি



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি