শুক্রবার,১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


শেরপুরে কল সেন্টারের সেবায় বাড়ছে কৃষি উৎপাদন


পূর্বাশা বিডি ২৪.কম :
২২.১২.২০১৬

1482419535_53

পূর্বাশা ডেস্ক:

তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে কৃষিসেবা এখন যেন হাতের মুঠোয়। যে কোন অপারেটর থেকে ১৬১২৩ নাম্বারে ফোন দিয়ে কৃষিসেবা নিয়ে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। কৃষি, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদের যেকোন সমস্যার সমাধানে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কৃষি কল সেন্টারের দিকে ঝুঁকছেন। ওই কল সেন্টারের যাদুতে পাল্টে যাচ্ছে কৃষি, খাদ্য ও শস্যউদ্বৃত্ত অঞ্চল শেরপুরের নকলা উপজেলার কৃষিচিত্র। কৃষকরা ১৬১২৩ এর সেবা নেওয়ায় কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ কমেছে, পক্ষান্তরে বেড়েছে উৎপাদন আয়।

নকলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উপজেলায় মোট ফসলী জমি আছে ৭৬ হাজার ৯শ’ একর, আর নীট ফসলী জমি ৩৬ হাজার ২৫০ একর। মোট জমির ৮২.৯ ভাগ ব্যবহার হচ্ছে। সেচ যোগ্য ৩৬ হাজার ২৫০ একর জমি থাকলেও নার্সারী আছে মাত্র ৩২ টি। তাছাড়া অনাবাদী ও পতিত জমি আছে ১ হাজার ৭৫০ একর এবং বনভূমি আছে ১ হাজার ৯৫০ একর। উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে ৫ টি নদী, এখানে আছে ১১ টি বিল, ৪ হাজার ৪৮৩ টি পুকুর। তথ্যানুযায়ী ওই উপজেলায় ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৪২ টি পশু-পাখি রয়েছে। এসব কৃষি, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদের সেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা কৃষি, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাসহ কৃষি তথ্য সেবার ১৬১২৩ নাম্বারটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে বলে মত দিচ্ছেন কৃষি গবেষকসহ সুধীজনরা।

সরেজমিনে গেলে অগ্নিবীণা ক্ষুদ্র কৃষক আইপিএম ক্লাবের উদ্যোক্তা মোঃ জাকির হোসেন সজিব বলেন, আগে প্রতিদিন ২/৩ জন কৃষক সেবা নিতে আসতো। কিন্তু এখন দিনে ৮ থেকে ১২ জনকে ওই কল সেবা দিতে হয়। শীত মৌসুমে তা বেড়ে কয়েক গুণ হয়। সুবিধাভোগি কৃষকরা বলছেন, ১৬১২৩ নাম্বারটি তাদের জীবন মানকে বদলে দিয়েছে। আগে কৃষি সমস্যায় নানাজনের নানা কথা অনুযায়ী ক্ষতিকর ঔষধ প্রয়োগ করায় উপকারের চেয়ে অপকার হতো বেশি। কিন্তু এখন ফসলের ক্ষেতে বসেই ওই নাম্বারে কল দিয়ে তাৎক্ষণিক সেবা পাচ্ছেন তারা। তাতে আগের চেয়ে উৎপাদন অনেক বেড়েছে। পক্ষান্তরে কমেছে ব্যয়, বাড়ছে আয়, বাঁচছে সময়।



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি