সোমবার,১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


একই শরীরে দুই গ্রুপের রক্ত! তাজ্জব চিকিৎসকরা


পূর্বাশা বিডি ২৪.কম :
০৩.০৮.২০১৭

পূর্বাশা ডেস্ক:

 

রক্তাল্পতায় ভোগা রোগীর শরীরে রক্ত দিতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের! রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে কখনও আসছে এবি পজিটিভ, কখনও এবি নেগেটিভ। পর পর তিন দিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে অবশেষ ফ্যাক্টর খুঁজে পেলেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সুপার জানান, ১০ লাখের মধ্যে একজনের শরীরে এই ধরনের লক্ষণ মেলে। এঁদের রক্তে লোহিতকণিকার মধ্যে এই ধরনের অ্যান্টিজেন রেসেস ফ্যাক্টর বা আরএইচ ফ্যাক্টর হয়ে কাজ করে। সেটাই হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাম্পি রায় (২১) এর শরীরে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত রবিবার রক্তাল্পতার সমস্যা নিয়ে স্ত্রীকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান স্বামী। তিনি পেশায় দিনমজুর। রক্ত দেওয়ার আগে রুটিনমতো গ্রুপ জানতে চাইলে তিনি জানান, এবি পজিটিভ। কিন্তু তারপরও রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করা হয়। তাতে ধরা পড়ে এবি নেগেটিভ। স্বামীর কথা এবং টেস্টের রেজাল্ট না মেলায় সন্দেহ হতেই মেডিক্যাল কলেজে রক্ত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
সেখান থেকে রিপোর্ট আসে এবি পজিটিভ। বেসরকারি দুটি প্যাথলজিতে রক্ত পরীক্ষার জন্য পাঠালে এক জায়গার রিপোর্টে পজিটিভ আর এক জায়গা থেকে নেগেটিভ রিপোর্ট জমা পড়ে।

আর এই ঘটনার পরই তোলপাড় পড়ে যায় হাসপাতালের চিকিৎসক মহলে। বুধবার বিভাগের বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং প্যাথলজিস্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্তে পৌঁছন, আরএইচ ফ্যাক্টর কাজ করছে শরীরে। এই ধরনের ফ্যাক্টর যাদের শরীরে কাজ করছে তারা সংশ্লিষ্ট গ্রুপের নেগেটিভ রক্ত শরীরে নিতে পারবেন। আর দিতে পারেন একই গ্রুপের পজিটিভ রোগীকে।

টানা তিন দিন পর সিদ্ধান্তে পৌছে এ দিন দুপুরেই মাম্পি রায়ের শরীরে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় হাসপাতালে। হাসপাতাল সুপার জানান, বিশেষ পর্যবেক্ষণের মধ্যে রেখে দেওয়া হয় এবি নেগেটিভ রক্ত। যা পেয়ে খানিকটা সুস্থ বোধ করেন রুগি। দীর্ঘ টানাপড়েনের পর স্ত্রীকে খানিকটা চনমনে দেখে স্বস্তিতে স্বামী। স্ত্রীর শরীরে বিরল এই ফ্যাক্টরের খবরে খানিকটা অবাকও তিনি। বলেন, ভালয় ভালয় স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরব সেই অপেক্ষায় রয়েছি।

৩ আগস্ট, ২০১৭ / Choity.



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি