রবিবার,১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


নিজ দলের কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে আ.লীগ নেতা আটক


পূর্বাশা বিডি ২৪.কম :
১৯.০৬.২০২৩

ডেস্ক রিপোর্ট:

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার আবুল হোসেনের বাড়ীতে প্রবেশ করে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিক্ষোভের মুখে আটক হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ -কাউন্সিলর প্রার্থী মামাকে জেতাতে নির্বাচন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করতে গিয়েছিলেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

রবিবার (১৮ জুন) রাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বাড়িতে যান মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন। ওই সময় টের পেয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

বিক্ষোভকারীরা আওয়ামী লীগ নেতা লিমনের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা লিমনকে কড়া নিরাপত্তায় ওই বাড়ি থেকে বের করে ডিবি অফিসে নিয়ে যায়। লিমনের মামা আব্দুল হামিদ সরকার টেকন নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী।
নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন ওই বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অভিযোগ, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন তার মামা কাউন্সিলর প্রার্থীর আব্দুল হামিদ সরকার টেকনের পক্ষে অবস্থান নিতে নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনকে ম্যানেজ করতে যান। লিমনের সঙ্গে আরও দুইজন ছিলেন। তাদের কাছে টাকার ব্যাগ ছিল। নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়িতে টাকার ব্যাগ নিয়ে লিমন ঢুকেছেন এমন খবরে স্থানীয় লোকজন ওই বাড়ি ঘেরাও করে। এ সময় লিমনের সঙ্গে থাকা দুইজন সেখান থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে বাড়িতে আটকা পড়ে লিমন।

লিমনের বাবা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিসদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। লিমনের আরেক মামা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। তার আরেক মামা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। এই পরিবারটি এবার সিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর জন্য কাজ করছেন না বলে অভিযোগ আছে। ডাবলু সরকার মেয়র পদে নির্বাচন করতে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। কিন্তু তিনি মনোনয়ন পাননি।

লিমন যখন অবরুদ্ধ ছিলেন, তখন তার বাবা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর ইকবালসহ পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরিবারের নারীরা চিৎকার করে কান্নাকাটি করছিলেন। মীর ইকবাল ভিড়ের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করলে তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়।

বোয়ালিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা লিমনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। কেন তিনি ওই নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়িতে গিয়েছিলেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানা যাবে।



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি