শনিবার,১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


১১ মামলায় অসুস্থ খালেদার পক্ষে সময় মঞ্জুর


পূর্বাশা বিডি ২৪.কম :
১৪.০৩.২০১৭

পূর্বাশা ডেস্ক:

আদালত প্রতিবেদক : রাষ্ট্রদ্রোহের একটি এবং নাশকতার দশটিসহ মোট ১১ মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে সময় মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির তারিখ ২৮ মার্চ ধার্য করেছেন।

১৪ মার্চ মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার ১১ মামলায় হাজির হওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য তার পক্ষে সানাউল্লাহ মিয়া এবং মাসুদ আহমেদ তালুকদার সময়ের আবেদন করেন।

অপরদিকে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এর বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী তারিখ ২৮ মার্চ ঠিক করেন। ওইদিন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেন আদালত।

মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর দারুস সালাম থানার নাশকতার ৮টি, যাত্রাবাড়ী থানার ২টি ও রাষ্ট্রদ্রোহের ১টি মামলা ।

১১ মামলার মধ্যে যাত্রাবাড়ি থানার একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। অপর ১০ মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য রয়েছে।

এরআগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে আজ মঙ্গলবার আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। হাজির না হলে তার জামিন বাতিল করা হবে জানিয়ে দেন আদালত।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে করার অভিযোগে গত বছর ২৫ জানুয়ারী আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়। ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লক্ষ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’

ওই দিন খালেদা জিয়া আরো বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।’

এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামের এক যাত্রী।

এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করা হয়।

অন্যদিকে, ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।

গত বছরে বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোয় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। সবগুলো মামলায় খালেদা জিয়াকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়া মামলাগুলোয় আত্মসমর্পন করে জামিন নেন।



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি